খালেদা জিয়ার ৪ মাসের জামিন

খালেদা জিয়ার ৪ মাসের জামিন

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চার মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে পেপারবুক (আপিল শুনানির জন্য যাবতীয় নথি) প্রস্তুত করার জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পেপারবুক প্রস্তুত হওয়ার পর যে কোনো পক্ষই আপিল শুনানির জন্য আদালতে প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারবেন বলে হাইকোর্টে জানানো হয়েছে।

আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শেষ হয়। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ শেষ করে এ মামলায় বিচারিক আদালতের নথি আসার পর আদেশ দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছিলেন। এ ছাড়া একই বেঞ্চ গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এ মামলার নথি তলব করেন। আদেশের কপি হাতে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এ নথি পাঠাতে বলা হয়।  পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই আদেশের কপি বিচারিক আদালতে পৌঁছায়। সে অনুযায়ী রোববার ছিল নথি পৌঁছানোর ১৫ দিনের সময়সীমার শেষ দিন। শেষ দিন হিসেবে রোববার সকালে বিচারিক আদালত হাইকোর্টে নথি পাঠায়। কোতোয়ালি থানার এএসআই মঞ্জু মিয়ার তত্ত্বাবধানে আদালতের দুই কর্মচারী বড় একটি ট্রাংকে করে মামলার নথি নিয়ে দুপুর ১২টা ৫৪ মিনিটে সুপ্রিমকোর্টে পৌঁছেন। হাইকোর্টের আদান-প্রদান শাখায় নথি গ্রহণ করেন সেকশন কর্মকর্তা কেএম ফারুক হোসেন। সেখান থেকে মামলার নথি ফৌজদারি আপিল শাখায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই শাখা থেকেই হাইকোর্টের বেঞ্চে যায় নথিটি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে খালেদা জিয়ার শরীরিক অবস্থা, বয়স ও সামাজিক পরিচয় বিবেচনা করে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারায় পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই অর্থ ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের এই রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়। পরের দিন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টে আপিল করেন। মূল রায়সহ ১ হাজার ২২৩ পৃষ্ঠার আপিল আবেদনে ৪৪টি যুক্তি দেখিয়ে খালেদা জিয়ার খালাস চাওয়া হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে নথি তলব করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment